গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে ১০ ঘরোয়া উপায়
গ্যাসের সমস্যা ভোগে না
এমন লোককে খুঁজে পাওয়া
দায়। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত
জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস,
অম্বল প্রায় ঘরোয়া রোগ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। যে কোনও
ঘরে গেলেই অন্তত গ্যাসের
এক পাতা ওষুধ অবশ্যই মিলবে।
তবে গাদা গাদা গ্যাসের
ওষুধ খেয়েও সমস্যা দূর হয় না।
কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে
যেগুলো প্রয়োগ করলে গ্যাস
দূরে রাখা যায়। প্রাকৃতিক ও
সহজে পাওয়া যায় এমন সব
জিনিস দিয়ে গ্যাস, বুক
জ্বালা দূরে রাখুন-
কলা: রাদিনে অন্তত দুটো
কলা খান। পেট পরিষ্কার
রাখতে কলার জুড়ি মেলা
ভার।
ঠান্ডা দুধ: পাকস্থলির
গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে
নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি
থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ।
এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান
করলে অ্যাসিডি দূরে
থাকে।
দারুচিনি: হজমের জন্য খুবই
ভাল। এক গ্লাস জলে আধ
চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে
ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩
বার খেলে গ্যাস দূরে
থাকবে।
মৌরির জল: মৌরি
ভিজিয়ে সেই জল খেলে
গ্যাস থাকে।
জিরা: জিরা পেটের গ্যাস,
বমি, পায়খানা, রক্তবিকার
প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর
হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের
গুড়ের মধ্যে ভালো করে
মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে
পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে
হবে। দিনে তিনবার এর
একটি করে বড়ি খেলে ঘাম
দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
লবঙ্গ: ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে
চুষলে একদিকে বুক জ্বালা,
বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়।
সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
এলাচ: লবঙ্গের মত এলাচ
গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে
থাকে।
পুদিনা পাতার জল: এক কাপ
জলে ৫টা পুদিনা পাতা
দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট
ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে
এর বিকল্প নেই।
আমড়া: আমলা টুকরো করে
রোদে দিয়ে খান কাজে
দেবে। পেটে গ্যাস ও
বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে
আদা খুব উপকারী। খাবারে
আদা যোগ করে বা কিছু
পরিমাণ আদা চিবিয়ে রসটুকু
গ্রহণ করলে পেটে গ্যাস
প্রতিরোধ করা যায়।
আদা: আদা থেতো করে খান
দখবেন অম্বল পালিয়েছে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন