ঠাণ্ডার ঘরোয়া চিকিৎসা
১।প্রচুর তরল পান করুন -
তরলের কারণে সর্দি পাতলা হয়ে যায় এবং সহজে বেরিয়ে
আসতে পারে। পানি ও অন্যান্য তরল
পানিশূণ্যতাকেও প্রতিরোধ করে।
তাই প্রতি দুই ঘন্টায় অন্তত এক গ্লাস
পানি পান করুন। সকাল সকাল কুসুম গরম
পানি পান করলে ঠাণ্ডা ও কাশি
থেকে তৈরি ক্ষতিকারক পদার্থ
বের হয়ে যায় এবং ঠাণ্ডা ও
কাশিকে বিতারিত করতে
সাহায্য করে।
২। কুলকুচি করুন -
গরম পানি দিয়ে
কুলি করলে ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে
দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। গরম পানির
সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে
নিলে আরও ভাল হয়। লবণ গলাব্যথা
থেকে আরাম দেয়।
৩। প্রচুর ঘুমান -
রাতে সাত ঘন্টার
চেয়ে কম ঘুমালে ঠাণ্ডা লাগার
ঝুঁকি যারা রাতে গড়ে আট ঘন্টা
ঘুমান তাদের চেয়ে তিনগুন বেড়ে
যায়।
৪। গরম পানি দিয়ে গোসল করুন -
গরম
পানি দিয়ে গোসল করলে ও লবণ
পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে
জমাট নাক থেকে সাময়িক নিস্তার
পাওয়া যায়।
৫। চিকেন স্যুপ খান -
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত,
চিকেন স্যুপ ঠাণ্ডার সময় খাওয়া
ভাল। চিকেন স্যুপে সিস্টিনস আছে,
যা সর্দি পাতলা করে।
ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাসকা
মেডিকাল সেন্টারের গবেষকরা
উদঘাটন করেছেন যে চিকেন স্যুপে
প্রদাহবিরোধী গুন আছে যা
নাকব্যথা ও জমাটবাঁধা প্রতিরোধ
করে।
৬। মধু -
প্রতিদিন এক কাপ গরম পানির
সাথে মিশিয়ে অথবা শুধু চামচে
করে এক চামচ মধু খান। মধু কাশির
সিরাপের মতো কাজ করে এবং
অন্যান্য কাশির সিরাপের চেয়ে
ভাল ফলাফল দেয়। দুধের সাথে
মিশিয়েও মধু খেতে পারেন।
৭। চায়ের ফলাফল হয় চমৎকার -
এক
কাপ মধু-চা চিকেন স্যুপের মতই কাজ
করে; বন্ধ নাককে শিথিল করে।
লোক চিকিৎসকরা এই পদ্ধতি শত শত
বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে। তারা
প্রায়ই চায়ের সাথে মশলা ও ঔষধি
গাছড়া মিশিয়ে পান করতে বলে,
এসবের মধ্যে আছে অ্যান্টিভাইরাল
গুন। আদা, মধু ও পুদিনা চাও ভাল।
ঠাণ্ডার সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া
চিকিৎসার জন্য লেবুঘাস চা অন্যতম।
কয়েকটা লেবুঘাস পানিতে
ফুটিয়ে নিন, এই চা চিনি মিশিয়ে
পান করতে পারেন।
৮। মরিচ ঝাল কিন্তু......
ঝাল খাবার
নাক আর চোখে পানি আনার জন্য
কুখ্যাত। মরিচের মাঝে ঝাল
দ্রব্যটিকে বলে ক্যাপাসাইসিন
এবং এটি গুয়াইফেনেসিন এর অনুরূপ,
যা কিছু কাশির সিরাপে পাওয়া
যায়। তাই কিছু বিষেশজ্ঞরা
বিশ্বাস করেন যে ঝাল খাবার নাক
পরিষ্কার করতে সহায়ক।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন