'' ইসলামের দৃষ্টেতে হস্তমৈথুন! ''
আল্লাহ তা’আলার দেয়া এ সুন্দর যৌবন
কালটাকে ক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি
তার স্বীয় লিঙ্গের পিছনে লেগে
যায় এবং নিজ হাত দিয়ে এটা চর্চা
করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার এ হাত
পরকালে সাক্ষী দেবে যে, সে এ
পাপ কোথায় কতবার করেছে- যা
পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে
প্রমাণিত হয়।
আল্লাহ তা ’আলা বলেনঃ
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻧَﺨْﺘِﻢُ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﻜَﻠِّﻤُﻨَﺎ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﺗَﺸْﻬَﺪُ
ﺃَﺭْﺟُﻠُﻬُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ [ ٣٦:٦٥]
“সেইদিন আমি তাদের মুখের উপর
মোহর মেরে দেব , বরং তাদের
হাত আমার সাথে কথা বলবে , আর
তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা
তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -
( আল- কুরআন , ৩৬:৬৫)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
“যে ব্যক্তি স্বীয় জিহ্বা এবং
লজ্জাস্থান জামিন হবে আমি
তার জাহান্নামের জন্যে
জামিন হবো। ” -( বুখারি , মিশকাত)
উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত
হচ্ছে, মানব দেহের এ দু ’ টো অঙ্গ
অত্যন্ত দুর্বল ও বিপদজনক। এ দু ’ টো
অঙ্গের মাধ্যমে বিশেষ করে
লজ্জা স্থানের মাধ্যমে পাপ
করাতে শয়তানের জন্য খুব সুবিধা।
এ দু’ টো অঙ্গের মাধ্যমে বেশীর
ভাগ পাপ হয়ে থাকে। যদি কোন
ব্যক্তি এ দু ’ টো অঙ্গের হেফাজত
করে, বিশেষ করে যুবক অবস্থায়
লিঙ্গের হেফাজত করে অবয়িদ
কোন প্রকারেই বীর্যপাত ঘটাতে
চেষ্টা না করে তাহলে সে
জান্নাতে প্রবেশের বিরাট
সুযোগ পেয়ে যাবে।
অন্যত্র সহীহ হাদীস থেকে আরও
প্রমানিত হয়ঃ
“( একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যুবকদের
লক্ষ্য করে বলেন) হে যুবকেরা!
তোমাদের মধ্যে যারা
বিবাহের দায়িত্ব পালনের
যোগ্যতা রাখে , তাদের বিবাহ
করা উচিত। কেননা বিবাহ
দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং
লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর
যে বিবাহের দায়িত্ব পালনের
যোগ্যতা রাখে না , তার উচিত
(কামভাব দমনের জন্য) রোযা
রাখা।” -( বুখারী , মুসলিম ,
মিশকাত)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ
“তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা
আল্লাহ তা ’ আলা নিজের
দায়িত্ব মনে করেনঃ
(১) ঐ খতদাতা ব্যক্তি , যে তার
খতের মূল্য পরিশোধের চেষ্টা
করে।
(২) সে বিবাহিত যুবক , যে
চরিত্রের হিফাজতের উদ্দেশে
বিবাহ করে।
(৩) সে মুজাহিদ , যে আল্লাহর
রাস্তায় জিহাদ করে।” -
( হাসানঃ আত-তিরমিযী ,
নাসায়ী, ইবনু মাজাহ , মিশকাত)
হস্তমৈথুন এমনই একটি কাজ যার অর্থ
নিজেকে কলুষিত করা। এটা একটা
জঘন্য কলুষ বা পাপ বোধযুক্ত কাজ।
হস্তমৈথুন এমনই গোপনীইয় পাপ যা মানুষ
চোরের মত চুপিসারে করে এবং
প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ
“উত্তম চরিত্র হল পু্ন্য। আর যে কাজ
তোমার মনে খটকা সৃষ্টি করে
এবং লোকের কাছে প্রকাশ
হওয়াকে তুমি পছন্দ কর না , তা হল
পাপ। ” -( মুসলিম , মিশকাত)
অশালীন , অশোভনীয় ও অন্যায়
কাজে মনে সঙ্কোচবোধ করার
নাম হলো লজ্জা বা হায়া। যার
লজ্জা নেই সে পারে হস্তমৈথুনে
লিপ্ত হতে।
লজ্জা বা হায়া সম্পর্কে
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
“লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে
আনে। ” -[ বুখারী ও মুসলিম]
মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ
রয়েছেঃ
“লজ্জাশীলতার পুরোটাই
কল্যাণময়। ”
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের
কাম্য।
ধন্যবাদ।]
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন