Health Talk丨স্বাস্থ্য কথা http://bdhealthtalk.blogspot.com/2016/02/blog-post_17.html

#অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন করবেনঃ


***১ম ধাপ : টাকা জমা
দেওয়া

* অনলাইনে পাসপোর্ট করতে
হলে প্রথমে টাকা জমা
দিতে হবে।
কেননা অনলাইনে ফর্ম পূরণ
করার সময় টাকা জমা দেওয়ার
তারিখ , ব্যাংকের নাম ,
ব্যাংকের শাখা এবং জমা
দানের স্ক্রল নম্বর উল্লেখ
করার প্রয়োজন হয়। তাই ফর্ম
পূরণের আগে টাকা জমা
দিতে হবে।
*রেগুলার ফি ৩,৪৫০ টাকা
(+১০ টাকা ভ্যাট) এবং জরুরি
পাসপোর্ট করতে হলে তার
ফি ৬,৯০০টাকা (+১০ টাকা
ভ্যাট) ।
রেগুলার ফিতে পাসপোর্ট
পেতে সময় দেয়া থাকে
আবেদনের দিন থেকে ২১ দিন
(কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন
রিপোর্ট পেতে বিলম্ব ও
অন্যান্য কারনে পাসপোর্ট
পেতে বর্তমানে কমপক্ষে ১
মাস অথবা বেশি লাগে ),
জরুরিভিত্তিতে করতে
চাইলে আবেদনের দিন
থেকে ১০ দিন পর পাসপোর্ট
প্রদানের তারিখ দেয়া হয়
( কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন
রিপোর্ট পেতে বিলম্ব ও
অন্যান্য কারনে পাসপোর্ট
পেতে বর্তমানে কমপক্ষে ১৫
কার্যদিবস লাগেই ) ।
*সোনালী ব্যাংক সহ আর ৫টি
ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা
নেয়া হয় ।
*ব্যাংকের রিসিট ২-১ টি
ফটোকপি করে রাখুন ।
*বর্তমানে অনলাইনেও
পাসপোর্ট আবেদনের টাকা
জমা নেয়ার ব্যবস্থা আছে
কিন্তু পদ্ধতিটি আমার জানা
নেই ।

***২য় ধাপ : অনলাইনে
ফর্ম পূরণ করা

অনলাইনে ফর্মপূরণের জন্য
প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের
http://www.passport.gov.bd/
Default.aspx সাইটে যেতে
হবে ,
তারপর “I have read the above
information and the relevant guidance
notes” টিক চিহ্ন দিয়ে
“continue to online enrollment” এ
ক্লিক করতে হবে।
*প্রথমে পার্সপোট টাইপ
দিতে হবে “ordinary” ।
Delivery Type অংশে ২১ দিনের
জন্য হলে Regular এবং ১০
দিনের জন্য হলে Express
সিলেক্ট করতে হবে।
*আপনার নাম ও ব্যক্তিগত
তথ্যাদি- যেমন: নামের
বানান, পিতা-মাতার নাম
যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের
মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল
হলে পাসপোর্টে হতে
সমস্যা হবে।

*মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল
নম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই
যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি
দেওয়া উচিত। যে
অংশগুলো লাল স্টার মার্ক
(*) দেওয়া রয়েছে, সেগুলো
অবশ্যই পূরণ করতে হবে। তারপর
ভালমত বুঝে বুঝে সাবধানে
প্রতিটি প্রয়োজনীয় ধাপে
সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরন সম্পন্ন
করুন ।

*সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ হলে পুনরায়
এটি চেক করতে হবে। সব তথ্য
টিক আছে কি না, তা যাচাই
করে পরবর্তী ধাপে যেতে
হবে।
সবশেষে পূরণ করা ফর্মটি
সাবমিট করতে হবে।
সফলভাবে সাবমিট করা হলে
পূরণ করা ফর্মের একটি
পিডিএফ কপি
যে ই-মেইল আইডি দিয়ে ফর্ম
পূরণ করা হয়েছে, সেখানে
চলে আসবে , আবার নাও
আসতে পারে তবে এটা কোন
সমস্যা না ,
উক্ত পেজ এ পিডিএফ কপি
ডাউনলোডের লিঙ্ক দেয়া
আছে অথবা উক্ত ওয়েবসাইট
থেকে পরবর্তীতে Application ID
ও Password দিয়ে আবেদন
ফর্মের পিডিএফ কপি যতবার
ইচ্ছা ডাউনলোড করা যাবে ।
*অনলাইন অথবা হাতে লিখা
কোন ক্ষেত্রেই আগে থেকে
ছবি তোলার তারিখ
নির্ধারন করার অপশন নাই
কারন উভয় ক্ষেত্রে যেদিনই
আবেদনপত্র নিয়ে পাসপোর্ট
অফিসে যাবেন ওই দিনই
আপনার ছবি তোলা সহ
যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে
পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য
আপনাকে একটি আলাদা
ডকুমেন্ট দেবে এবং
পাসপোর্ট সংগ্রহ করার
তারিখও ডকুমেন্টে লিখা
থাকবে ।

***৩য় ধাপ : ফর্মের প্রিন্ট
এবং সত্যায়ন

এবার পাসপোর্ট আবেদনের
পিডিএফ কপির ২ কপি কালার
প্রিন্ট করতে হবে। এতে প্রথম
পৃষ্ঠার ১ নম্বর স্থানে
আবেদনকারীর নাম কলম দিয়ে
বাংলায় লিখতে হবে এবং ৩
নম্বর পাতায় স্বাক্ষর করার
স্থানে আবেদনকারীকে সই
করতে হবে।
এবার আবেদনকারীকে
নিজের ৫৫ × ৪৫ মিলিমিটার
আকারের রঙিন ছবি
(পাসপোর্ট সাইজ ছবি) একটি
করে উভয় ফর্মে আঠা দিয়ে
লাগানোর পর দুটো ফর্মই
সত্যায়িত করতে হবে।ছবিটি
এমনভাবে সত্যায়িত করতে
হবে যেন সত্যায়নকারীর
স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর
অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর
বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের
কাগজে থাকে। পরিচিত
কাউকে দিয়ে সত্যায়ন
করালে ভাল । কারন উভয়
আবেদনপত্রের ৪ নম্বর পৃষ্ঠায়
সত্যায়নকারী কর্মকর্তার নাম,
আবাসিক ঠিকানা ও ফোন
নম্বার, পাসপোর্ট/জাতীয়
পরিচয় পত্রের নম্বর , স্বাক্ষর ও
সীল লিখে নিতে হবে । এরই
সাথে আবেদনকারীর নিজের
জাতীয় পরিচয়পত্রের
ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধন
সনদের ফটোকপি সত্যায়ন করে
নিতে হবে (২টি করে) ।

***৪র্থ ধাপ : আবেদন পত্র
জমা দেওয়ার আগে
পুরো ফর্মটি রি-চেক
এখন ব্যাংকের রিসিট একটি
ফর্মে ও রিসিটের ফটোকপি
আরেকটি ফর্মে আঠা দিয়ে
সংযুক্ত করতে হবে । রিসিটের
উপরের অংশে আঠা লাগিয়ে
তা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের
১ম পৃষ্ঠার ছবির স্থানের নিচে
লাল কালিতে লেখা
সতর্কতা মূলক অংশের উপর
সংযুক্ত করুন ।
*সকল পেশার মানুষের জন্য
জাতীয় পরিচয়পত্রের
সত্যায়িত ফটোকপি অথবা জন্ম
নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি ২টি আবেদন পত্রের
সাথে সংযোজন বাধ্যতামূলক
। পেশার ভিন্নতার জন্য এর
সাথে কয়েকটি কাগজ যুক্ত
করতে হয় , যেমন
--- পেশা ছাত্র হলে শুধুমাত্র
SSC certificate এর সত্যায়িত
ফটোকপি (student id card দরকার
নেই )
--- পেশা ব্যবসায়ী হলে টি
আই এন সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি (ssc certificate
ফটোকপি দরকার নেই )
--- পেশা Private service হলে
সম্ভবত job appointment letter অথবা
চাকরি প্রমান সনদের
সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত
করতে হয়(sure না)
--- আর পুরাতন পাসপোর্ট Renew
করতে হলে তার প্রথম কয়েকটি
পৃষ্ঠার সত্যায়িত ফটোকপি
*অর্থাৎ STUDENT পেশার
পাসপোর্ট করতে হলে হলে
শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের
সত্যায়িত ফটোকপি/ জন্ম
নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত
ফটোকপির সাথে SSC certificate
এর সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত
করলেই আবেদন পত্রটি সম্পুর্ণ
হয়ে যায় ।
*জন্ম নিবন্ধন সনদটি অনলাইন
ভিত্তিক হতে হবে অর্থাৎ
জাতীয় ডাটাবেজে আপনার
জন্ম সনদটি আপলোড করা
থাকতে হবে
যেন পাসপোর্ট অফিস থেকে
জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্চ
দিলে আপনার ওই নিবন্ধনের
তথ্য পাওয়া যায়
*অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম)
আবেদনকারীর ক্ষেত্রে
আবেদনকারীর বাবা ও
মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও
লাগবে যা আবেদন পত্রের
প্রথম পৃষ্ঠার উপরের ডান পাশে
নির্ধারিত স্থানে আঠা
দিয়ে লাগাতে হয় ।

-------এসব ধাপ শেষ করলে
ফর্মটি জমা দেওয়ার জন্য
প্রস্তুত।

***৫ম ধাপ : ফর্ম জমা দেওয়া
এবং ছবি তোলা
অনলাইনে আবেদন করার দিন
থেকে ১৫ দিনের মধ্যে
প্রস্তুতকৃত ফর্মটি নিয়ে যেতে
হবে পাসপোর্ট অফিসে।
পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টা
পর্যন্ত জমা নেয়া হয় ।
পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার
সময় অবশ্যই সাদা পোশাক পড়া
উচিত নয়। কেননা ছবি তুললে
সাদা পোশাকে তা ভালো
হবে না এবং তারা আপনার
ছবি তুলবেই না । এজন্য রঙ্গিন
পোশাক পড়ে যেতে হবে ।
আবারও বলছি , যেদিন আপনি
আবেদন পত্র জমা দিতে
যাবেন সেদিনই ছবি তোলা
হবে , আপনি হাতে লিখা
অথবা অনলাইনে আবেদনকারী
যেই হন না কেন ।
জমাদানের প্রক্রিয়াঃ

* আগারগাঁও পাসপোর্ট
অফিসে ঢুকার পর মেইন
গেটের সাথে নিচে যে
লাইন দেখবেন সেখানে
সবার সাথে দাড়াবেন
অর্থাৎ হাতে লিখা কিংবা
অনলাইন আবেদনকারী যেই হন
না কেন , প্রথম কাজ বা প্রথম
লাইন একটাই । এখানে সকল
আবেদনকারীকে
আবেদনপত্রের জন্য সিরিয়াল
নম্বর নিতে হয় । লাইন যত বড়ই
হোকনা কেন এখানে
সিরিয়াল নিতে ২০ থেকে
২৫ মিনিটের বেশি সময়
লাগেনা কারন সেনা
সদস্যরা দ্রুত সিরিয়াল বন্টন
করেন ।

*এর পর সিরিয়াল দিয়ে
সেনা সদস্যরা অনলাইনে
আবেদনকারী হলে ওই
পাসপোর্ট ভবনের তিন তলায়
৩০৪ নম্বর রুমে পাঠান । ৩০৪ নম্বর
রুমে মাঝে মাঝে লাইন একটু
বড় থাকে আবার কখনো
সামান্য থাকে ।তবে
এখানেও ১০ মিনিটের বেশি
সময় লাগেনা ।

* ৩০৪ নম্বর রুমে পাসপোর্ট
অফিসের কর্মকর্তা
আবেদনকারীকে নাম, পিতার
নাম , পেশা সম্পর্কে সাধারন
প্রশ্ন করে আবেদনকারীর
পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে
আবেদনটি নথিভুক্ত করেন ।
এরপর আবেদনকারীকে আবার
নিচতলায় ১০২ নম্বর কক্ষে
(টেবিলে) যেতে বলেন ।
*৩০৪ নম্বর রুমের কর্মকর্তা
আবেদনে কোন অসঙ্গতি
দেখলে আবেদনকারীকে
কাগজপত্র চেক করার জন্য
নিচতলার ১০১ নমর রুমে
পাঠাতে পারেন ( অসঙ্গতি
যেমন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন
ভিত্তিক না হলে, অথবা
আবেদনকৃত ফর্ম ও সংযুক্ত
কাগজপত্রের বিভিন্ন নাম ও
তথ্যে মিল না থাকলে , অথবা
কোন কিছু ভুয়া মনে হলে ) ।
* এরপর ৩০৪ নম্বর রুমের কাজ শেষ
হওয়ার পর নিচতলার ১০২ নম্বর
কক্ষে(টেবিলে) গেলে
সেনা সদস্যরা আবেদন ফর্মে
আবেদিত সিল মেরে দিবেন
এবং ছবি তোলার জন্য একই
ভবনের ৪০২ নম্বর রুমে
পাঠাবেন , এখানে ছবি
তোলার সিরিয়াল আছে
তবে অনলাইনে আবেদনকারী
হিসেবে পরিচয় দিলে
সিরিয়াল নাও লাগতে
পারে ।

*৪০২ নম্বর রুমে আপনার
আবেদনপত্রগুলো রেখে
সেখানকার অফিসার আপনার
ছবি তুলবে, দুই হাতের
আঙ্গুলের ছাপ ও ডিজিটাল
স্বাক্ষর নিবে এবং তারপর
আপনাকে রশিদ দেওয়া হবে
তাতে পাসপোর্ট সংগ্রহ
করার তারিখ লিখা থাকবে।
রশিদটি ভালো মত চেক করে
রুম থেকে বেরিয়ে আসুন আর
রশিদের তথ্যে কোন ভুল
থাকলে রশিদে প্রদত্ত
নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ
করুন। এভাবে অনলাইনে
আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন
হল ।

*আগারগাঁও পাসপোর্ট
অফিসে ঢুকার পর থেকে ছবি
তোলা শেষ করে পুরো
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ
১ ঘন্টা লাগতে পারে ।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

Unknown
পোস্ট করেছেনঃ Unknown
পোস্ট ক্যাটাগরিঃ
0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

টেক জান প্রো কী?